শিশুর ক্রমবৃদ্ধি সংক্রান্ত মায়েদের পুষ্টি শিক্ষা

শিশুর বিকাশমান শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে খাদ্য সম্পর্কীয় পরামর্শ দান বা পুষ্টি শিক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মূলত। শিশুদের ক্রমবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ ও উৎসাহ দান কার্যক্রমে পুষ্টি শিক্ষাকে সরাসরি উৎসাহ দান পর্যায়ে গণ্য করা হয়। এই উৎসাহ দান পর্যায়টিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।

mother and child health

  1. প্রাপ্ত ওজনের ভিত্তিতে পুষ্টিহীনতার ধাপ নির্ণয়-পূর্বক মাকে যথাযথ খাদ্য সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করা।
  2. শিশুর স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যাবলী প্রচার করা।

মাকে যথাযথ খাদ্য সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া।

  1. পরিবারের আর্থিক অবস্থার  সঙ্গে সঙ্গে সংহতি রেখে কম ওজন সম্পন্ন শিশুদের জন্য বারে বারে খাবার দিতে হবে এবং আস্তে আস্তে খাবারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
  2. সাধারণভাবে গঠন ও মৃত্তিকারক খাদ্য এবং শক্তি দায়ক খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে তবে স্থানীয় খাদ্য প্রাপ্তি এবং আর্থিক সংকটের উপর নির্ভর করেই এ সকল খাদ্য নির্বাচন করতে হবে।
  3. সম্ভব হলে আস্তে আস্তে তেল জাতীয় খাবার বাড়াতে হবে
  4. একই সঙ্গে শাকসবজি ও ফলের আবাদ করে অথবা বাজার থেকে ক্রয় করে শিশুকে যথাসম্ভব খাওয়াতে হবে
  5. পরিবারের খাবার বন্টনে শিশুকে প্রাধান্য দিতে হবে
  6. খাদ্য সম্পর্কে কুসংস্কার দূর করতে হবে
  7. শিশুকে টাটকা খাবার দিতে হবে এবং ফলমূল নিরাপদ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে
  8. শিশুর পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যাবলী।

নিচে দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী শিশু খাদ্য সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া যায় মাকে। মায়েরা এই সকল পরামর্শ গুলো মেনে চলতে পারেন।

এক বছর পর্যন্ত শিশুরা যা খাবে।

  • জন্মের পরপরই নবজাতককে মায়ের বুকের প্রথম দুধ (শাল দুধ) বা কলোষ্ট্রাম দিতে হবে।
  • শিশুর বয়স ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর শারীরিক চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র মায়ের দুধই যথেষ্ট।
  • ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে পরিপূরক খাবার অর্থাৎ খিচুড়ি,সোজি, সিদ্ধ আলু, ডিমের কুসুম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি খাওয়ানো শুরু করতে হবে একই সঙ্গে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • শিশুকে নিরাপদ পানি খাওয়াতে হবে এবং নিরাপদ পানি দিয়েই ধুতে হবে।
  • শিশুকে সুষম ও ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে।
  • শিশুকে খাবার দেওয়ার পূর্বে মা হাত ধুয়ে নিবেন  অথবা নিজেকে পরিষ্কার করে নিবেন।


১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের খাবার ।

  1. দুই বছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
  2. শিশুর বয়স এক বছর হলেই তাকে পরিবারের অন্যান্য বয়স্ক সদস্যদের জন্য প্রস্তুতকৃত খাদ্য পরিমাণ মতো দিতে হবে।
  3. শিশুকে বারে বারে খাবার খাওয়াতে হবে বিভিন্ন প্রকারের খাবারের সংমিশ্রণে খাবারের গুণগত মান উন্নত করতে হবে।
  4. শিশুকে নিরাপদ পানি খাওয়াতে হবে এবং নিরাপদ পানি দিয়ে তার থালা-বাসন ধুয়ে দিতে হবে এবং শিশুকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  5. সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে এতে করে শিশুর শারীরিক গঠন সুন্দর এবং সবল হবে।
  6. খাবারের পূর্বে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে বিশেষ করে শিশুর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে বা ধুয়ে দিতে হবে।
আশা করি আপনি ustmart এর এই পোস্ট গুলো পছন্দ করবেন 

Post a Comment

0 Comments